Interior Design

হযরত উমর (রা.) এর ইসলাম গ্রহণের ঘটনা

হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) ইসলাম গ্রহণের আগে ছিলেন মক্কার অন্যতম প্রভাবশালী, দৃঢ়চেতা ও সাহসী ব্যক্তি। ইসলাম তখনও নবীন পর্যায়ে, আর কুরাইশদের বিরোধিতা তুঙ্গে। উমর (রা.) ইসলামের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন। এমনকি তিনি ইসলাম প্রচার বন্ধ করার জন্য রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে হত্যা করারও সংকল্প করেন।

একদিন তলোয়ার হাতে বের হয়ে পড়লেন রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে হত্যা করার উদ্দেশ্যে। পথে এক ব্যক্তি তাঁকে জিজ্ঞেস করল, “কোথায় যাচ্ছো, উমর?” তিনি বললেন, “মুহাম্মদকে (সা.) হত্যা করব।” তখন সেই ব্যক্তি বলল, “তুমি আগে তোমার নিজের পরিবারকে সামলাও। তোমার বোন ফাতিমা (রা.) ও তার স্বামী সাঈদ (রা.) ইসলাম গ্রহণ করেছে।”

এ কথা শুনে উমর (রা.) ক্ষিপ্ত হয়ে বোনের বাড়ির দিকে ছুটলেন। সেখানে গিয়ে কুরআনের আয়াত পাঠ করার শব্দ শুনলেন। ভেতরে ঢুকে বোন ও তার স্বামীকে আঘাত করলেন। বোনের রক্তাক্ত মুখ দেখে হঠাৎ তাঁর হৃদয়ে নরমতা জাগল। রাগ কমে গিয়ে বললেন, “তোমরা যা পড়ছিলে, আমাকে সেটা পড়তে দাও।”

তখন তাঁকে কুরআনের সূরা ত্বাহা থেকে কয়েকটি আয়াত শোনানো হয়। মহান আল্লাহর কালামের গভীরতা তাঁর হৃদয়ে দাগ কাটল। তিনি কেঁদে ফেললেন এবং বললেন—
👉 “নিশ্চয়ই এ তো সত্যের বাণী। আমাকে মুহাম্মদের (সা.) কাছে নিয়ে চলো।”

পরবর্তীতে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে গিয়ে ঈমানের সাক্ষ্য দিলেন এবং মুসলিম হলেন। তাঁর ইসলাম গ্রহণে মুসলমানরা নতুন সাহস পেল। উমর (রা.)-কে বলা হয় “আল-ফারুক”—যিনি সত্য ও মিথ্যার মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য করে দিতেন।


শিক্ষা

হযরত উমর (রা.)-এর ইসলাম গ্রহণ আমাদের শিখায়—যে হৃদয় একসময় সত্যের বিরোধিতা করেছে, সেই হৃদয়ও আল্লাহর রহমতে পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *