সাজিদ ছিল এক গরিব কৃষকের ছেলে। সংসারের অভাব-অনটন যেন তার প্রতিদিনের সঙ্গী। বই কেনার টাকাও জুটত না, তাই বন্ধুর পুরনো বই আর হাতের লেখা নোটই ছিল ভরসা। স্কুল শেষে অন্যদের মতো খেলতে যাওয়া তার ভাগ্যে জোটেনি—তাকে মাঠের বদলে যেতে হতো খেত-খামারে বাবাকে সাহায্য করতে।
তবুও সাজিদের স্বপ্ন ছিল বড়। সে জানত, পড়াশোনা ছাড়া ভাগ্য বদলানো সম্ভব নয়। তাই দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম আর রাতের পর রাত জেগে পড়াশোনা চালিয়ে গেছে। গ্রামের অনেকেই বলত—“এত কষ্ট করে পড়েও কি হবে?” কিন্তু সে থামেনি।
কয়েক বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় জায়গা করে নেয় সাজিদ। স্কলারশিপ পেয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যায়। সেখান থেকেও থেমে থাকেনি—নিয়মিত পরিশ্রম আর শৃঙ্খলার মাধ্যমে সে দেশের অন্যতম একটি ব্যাংকে উচ্চপদে চাকরি পেল।
আজ সাজিদ শুধু নিজের নয়, পরিবারের ভাগ্যও বদলে দিয়েছে। যে ছেলেটিকে একসময় গ্রামের মানুষ অবহেলা করত, এখন তারাই গর্ব করে বলে—“সাজিদ আমাদের এলাকার উজ্জ্বল মুখ।”
👉 এই গল্প আমাদের মনে করিয়ে দেয়—সাফল্য রাতারাতি আসে না। অধ্যবসায়, ধৈর্য আর সংগ্রামই সাফল্যের আসল চাবিকাঠি।


